ওকড়াবাড়ি নামটা হয়তোবা অদ্ভূত শোনাবে অনেকের কাছে। আমরা যারা ওই এলাকার মানুষ তাদের কাছে অবশ্য অদ্ভূত নয়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধা। সেখানকার ভাষায় চোরকাঁটার স্থানীয় নাম ওকড়া। অনেকদিন মাঠ অব্যবহৃত থাকলে কিংবা খেলাধূলা না করলে চোরকাঁটা জন্মায়। সকলের চোখের সামনে, তবে অমনোযোগেই বড় হয়ে ওঠে এই চোরকাঁটা। একফুটের বেশি লম্বা হয় না এগুলো। যেখানে জন্মে তার ওপর দিয়ে হেঁটে গেলে কাপড়ে বিঁধে যায়। মাঠ দিয়ে হেঁটে গেলে এই ওকড়া বা চোরকাঁটার দৌরাত্ম্য টের পাওয়া যায়। আস্তে আস্তে খুঁটে খুঁটে তুলতে হয় প্যান্ট কিংবা পাজামা থেকে।
ওউদ (বাদ্যযন্ত্র) থেকে বাংলার ‘ঈদ’ উৎসব
আরবি শব্দ ‘আউদ’ (عود)-এর অর্থ একপ্রকার বাদ্যযন্ত্র। ‘ঈদ’ শব্দের মূল শব্দ এই আউদ। আরবিতে যা আউদ, তুর্কিতেও তা আউদ এবং পারস্যে বলা হয় বারবাত। বারবাত শব্দটা আবার হিন্দিতে পাওয়া যায় যেমন, ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বলিউড চলচ্চিত্র ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ যেখানে রণবীর সিং এবং অনুষ্কা শর্মা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন। যদিও বিভিন্ন ভাষায় বারাতের অর্থ অনুষ্ঠান, রাত, ভাগ্য, মুক্তি ইত্যাদি। ভারতীয় উপমহাদেশে বারাতের অর্থ বিবাহ উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা। যাই হোক, বাংলায় এই আউদ বা বারবাতকে বলা যায়, এক ধরনের তারের যন্ত্র যা, গিটার বা ম্যান্ডোলিনের মতো দেখতে। এর থেকে উৎপন্ন সুর খুব মোহনীয় আর চমৎকার।
আউদ/ওউদ (ফুটনোটে বর্ণনা আছে) | ল্যুট (ফুটনোটে বর্ণনা আছে) |
বর্তমানে ঈদ عيد শব্দের অর্থ হচ্ছে খুশি, আনন্দ, উৎসব, পার্বণ, পর্ব ইত্যাদি। উৎপত্তিগতভাবে তা ওউদ/আউদ ‘عود’ বাদ্যযন্ত্র থেকে আগত। যেটি আবার ইউরোপীয় ‘ল্যুট’ (Lute) পরিবারের একটি যন্ত্রকে বোঝায়। উৎপত্তি যা-ই থাক, সঙ্গীতের একটি বড় অবদান আনন্দ, বেদনাময় আনন্দ, এমনকি আনন্দময় বেদনা সৃষ্টি করা। অন্যদিকে আরবি ওউদ/আউদ ‘عود’ শব্দের একটা আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ফিরে আসা। সুখ-দুঃখ, রোগ-দুশ্চিন্তা, আনন্দ-বিষাদ সবকিছুই তো মানুষের কাছে ফিরে ফিরে আসে। এর আরও অর্থ আছে, আর তা হলো—লোকজনের সমাগম, যেখানে কোনো সম্মানিত বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করা হয়।
সুখের অর্থনীতি
খোরশেদ আলম
মান্না দের একটা গানের শুরু, “সবাইতো সুখি হতে চায়, কেউ সুখি হয় কেউ হয় না।” তিনি এ বলেই ক্ষান্ত হননি। বলেছেন, “জানি না বলে যা লোকে সত্যি কিনা, কপালে সবার নাকি সুখ সয় না।” যে সুখ কপালের, তা হয়তো সবার জন্য সমান নয়। শিল্পী যে সুখের কথা গেয়েছেন তা ব্যক্তিগত, বাইরের লোকের কিছু বলার নেই।
নিঃশব্দ প্রত্যয়ে ঔপন্যাসিক হাসান আজিজুল হক
পাঠের লিঙ্ক: https://www.khaborerkagoj.com/golden-line/800242
অদ্বৈত মল্লবর্মণের রচনায় নদী ও উন্নয়নের ফাঁকি
ডেইলি স্টার বাংলায় ছাপা : https://bangla.thedailystar.net
প্রকৃত শিক্ষার অভাবে উন্নয়নে অসমতা তৈরি হয়। মূল্যবোধ না বদলে মানুষের বাহ্যিক প্রকৃতি পাল্টে যায় মাত্র। এই উন্নয়ন কেবল সীমিত সংখ্যক তল্পিবাহক মানুষের কাজে লাগে।
কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মণ প্রান্তিক সমাজ থেকে এসেছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষে একসময় মধ্যবিত্ত সমাজে গণ্য হন। আমাদের দেশে নিম্নবিত্ত থেকে অর্থনীতির সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠাকে সাফল্য বলে ধরে নেয়া হয়। কিন্তু অদ্বৈত নিজে কী ভাবতেন? আমরা জেনেবুঝে তাকে চর্চা করতে পেরেছি কি? অদ্বৈত মল্লবর্মণের সাহিত্যপাঠের পূর্বশর্ত হওয়া উচিত ছিল তা। যদিও সাহিত্য কোনও মতাদর্শের খোঁয়াড়বন্দি বিষয় নয়। তবুও প্রকৃত সত্য আড়াল করা সত্যিকার শৈল্পিক আচরণও নয়।
শিক্ষাব্যবস্থা কেমন হওয়া উচিত?
শিক্ষার কথায় আমরা সাধারণত উজ্জীবিত হয়ে উঠি। ছোটবেলা থেকেই আমাদের মনে প্রবেশ করানো হয়, ‘লেখাপড়া করে যে গাড়িঘোড়া চড়ে সে।’ শিক্ষার সঙ্গে মানুষের জীবনের সম্পর্ক বলতে আমাদের সমাজ এটাই শেখায়। শিক্ষা মানে শুধু যেন স্বচ্ছল জীবনযাপনের সামর্থ্য অর্জন করা। শিক্ষায় অর্জিত জ্ঞান দিয়ে অবস্থা পরিবর্তনের মাধ্যমে তা হতেও পারে। কিন্তু এটাই শিক্ষার একমাত্র উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নয়। বিস্তারিত