একসময় পৃথিবীতে রাজা/শাসক ছিলো না। যখন সমাজ তৈরি হলো, এর ভালোমন্দ দেখার ভার কিছু লোকপ্রধানদের ওপর নিযুক্ত হলো। সীমিত কিছু বিচার-আচার, নিয়মকানুনের মধ্যে তারা শান্তিতেই বসবাস করছিলো। কিন্তু এতে তাদের আশ মিটলো না। একসময় তারা রাজার প্রয়োজন অনুভব করলো। অর্থাৎ খাল কেটে কুমির নিয়ে এলো! মাঝে মাঝে তাই ভাবি-- মানবপ্রকৃতিই তাদের সর্বনাশের কারণ। অন্যদিকে পশুরা খাচ্ছে-দাচ্ছে জীবনযাপন করছে, দলাদলি করছে না, দলবেঁধে যুদ্ধও করছে না। অথচ হেন অপকর্ম নেই, যা মানুষ করছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি
বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমন রাজনীতি চাই
আমরা কেউই চিরকাল বেঁচে থাকবো না। আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ আমাদের হাত দিয়েই তৈরি হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এতো মানুষ চিন্তা করেছেন যে, তাদের ভাবনারাশি সমুদ্র উপচে পড়বে। কিন্তু চিন্তাগুলো সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছু হয়নি। এর পেছনে মূল কারণ রাজনৈতিক দলদাসত্ব। খুব জটিল কথা নয়, দলীয় রাজনীতিই সকল নষ্টের মূল। এ কারণেই বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়-চিন্তা বারবার মুখ থুবড়ে পড়ে। শিক্ষকতার দুই দশকে এতো নোংরামি দেখেছি, বলার ভাষা নেই। যখনই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ইতিবাচক কিছু ভাবতে গেছি পশ্চাতে কুড়াল মেরেছে শিক্ষক রাজনীতি। অন্যদিকে ছাত্রদের কল্যাণের কথা যতবার ভেবেছি, বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্ররাজনীতি।
ছাগলের চামড়ার ওভারকোট
আলবেনিয়ার লেখক ইসমাইল কাদারে
১. কোনো লেখকই নিজের জন্য সাহিত্য সৃষ্টি করেন না। … কেবল নিজেদের জন্য সাহিত্য সৃজন করা যায়, পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষের মানচিত্র নেই।
২. সাহিত্য এমন এক শক্তি, যা আপনাকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে ও একনায়কের বিরুদ্ধে জয়ী হতে সাহায্য করবে। আর এ কারণেই আমি সাহিত্যের প্রতি এতো কৃতজ্ঞ। —ইসমাইল কাদারে
স্বদেশ থেকে উৎখাত হলেই লেখক ভূমিচ্যুত হয়ে যান না। শরণার্থীর মতো ইসমাইল কাদারে নিজেও ঘুরেছেন বহির্বিশ্বে। একসময় ফ্রান্সে নির্বাসন নিয়ে ডায়াস্পোরার মতো ঠিকানা খুঁজেছেন নিজের দেশে। সাংস্কৃতিক আত্মতা ও স্বকীয়তায় অন্বেষণ করতে চেয়েছেন নিজের ভূমিকে। ফিরতে চেয়েছেন স্বজাতির কাছে বারবার। ১৯৬৭ সালে আলবেনিয়া তার নিজস্ব সাংস্কৃতিক বিপ্লব শুরু করে। কৃষক ও শ্রমিকদের জীবন সম্পর্কে জানার জন্য কাদারেকে অন্যান্য আলবেনিয়ান লেখকদের সাথে গ্রামাঞ্চলে পাঠানো হয়। তবে তিনি সবসময় নিজেকে আপন দেশেও নির্বাসিত মনে করতেন।
কথাশিল্পী শামিম আহমেদের জন্মদিনে না-বলা কিছু কথা!
মূল পত্রিকায় পাঠের লিঙ্ক : https://wp.me/p46zKa-2j2
লেখক শামিম আহমেদের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সালার নামক স্থানে। বিচিত্রমুখি ও বহুপ্রজ প্রতিভা তার। একাধারে ঔপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, গবেষক, চরিতকার এবং পেশাগত জীবনে দর্শনের শিক্ষক। আমার সঙ্গে তার পরিচয় ঘটেছিল খুবই নাটকীয়ভাবে। আকস্মিক পরিচয়ের সূত্রেই তাকে চেনাজানা, কথাবার্তা তারপর আন্তরিকতা।
সাহিত্যে দর্শন, দর্শনে সাহিত্য
সাহিত্য স্বয়ং সম্পূর্ণ, তার পরিণতি সে নিজেই। একথা সত্য—সাহিত্য ও দর্শন পরস্পর-বিরুদ্ধ নয়, আবার নিকট-আত্মীয়ও নয়। অন্তত শাস্ত্রীয় বিবেচনায় উভয়ের মধ্যে পার্থক্য যথেষ্ট। জ্ঞানীজন বলেন, প্রত্যেক সাহিত্যকর্মেরই একটা দর্শন থাকে। লিঙ্ক থেকে পুরোটা পড়ুন...https://docs.google.com/.../14MMFaOyxDGLPKEgLIEaBOfp.../edit
ওকড়াবাড়ির অষ্টমীর মেলা
ওকড়াবাড়ি নামটা হয়তোবা অদ্ভূত শোনাবে অনেকের কাছে। আমরা যারা ওই এলাকার মানুষ তাদের কাছে অবশ্য অদ্ভূত নয়। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধা। সেখানকার ভাষায় চোরকাঁটার স্থানীয় নাম ওকড়া। অনেকদিন মাঠ অব্যবহৃত থাকলে কিংবা খেলাধূলা না করলে চোরকাঁটা জন্মায়। সকলের চোখের সামনে, তবে অমনোযোগেই বড় হয়ে ওঠে এই চোরকাঁটা। একফুটের বেশি লম্বা হয় না এগুলো। যেখানে জন্মে তার ওপর দিয়ে হেঁটে গেলে কাপড়ে বিঁধে যায়। মাঠ দিয়ে হেঁটে গেলে এই ওকড়া বা চোরকাঁটার দৌরাত্ম্য টের পাওয়া যায়। আস্তে আস্তে খুঁটে খুঁটে তুলতে হয় প্যান্ট কিংবা পাজামা থেকে।