ঈদে খাদ্য-সংস্কৃতি : উৎস ও বিস্তার












ৎসবে খাদ্য একটি আবশ্যিক ব্যাপার, সেটা ধর্মীয় হোক আর জাতীয় উৎসবই হোক। যদিও রোযার মধ্য দিয়ে খাদ্যসংযমের বিধি রয়েছে, তবুও ভোজনরসিক বাঙালি মুসলমানের কাছে রোযার পরপরই ঈদ মানে বাহারি খাবার। চতুর্দশ শতকের কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তাঁর চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে মুসলমানদের প্রগাঢ় ধর্মপ্রীতি সম্পর্কে লিখেছেন: ‘প্রাণ গেলে রোজা নাহি ছাড়ে।’ তবুও খাদ্য যেমন ঐতিহ্য তেমনি জাতিগত সংস্কৃতিরও পরিচয়। অবশ্য এদেশের অগণিত মানুষ সারাবছর ধরে অভুক্ত থাকেন। খাদ্যের প্রাচুর্য নিয়ে কিছু বলার আগে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

কমলকুমার ও ‘অন্তর্জলী যাত্রা’ : শিল্পীর দেখার চোখ

 Shohoj Path2 komol-kumar

সমকালীন বাংলা কথাশিল্পে কমলকুমার মজুমদার আলাদা; একথা যদিও প্রায় প্রখ্যাত সবশিল্পীর ক্ষেত্রেই বলা যায়- তবুও নানা দিক থেকেই লেখক হিসেবে তিনি ব্যতিক্রম। শিল্পী হিসেবে তাঁর দেখার চোখটি বড় সাংঘাতিক। সাংঘাতিক এ-কারণেও যে অত্যন্ত আণুবীক্ষণিক বিষয়কেও তিনি চিত্রের পর চিত্র সাজিয়ে, অনুভবের ওপর ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার প্রলেপ দিয়ে শৈল্পিক অভিব্যক্তি দিতে পারেন।

‘লোভ’ বইটি সম্পর্কে লেখকের কথা

লো মানুষের জীবনের সঙ্গে বাঁধা। আমরা যেভাবেই বিশ্বকে কল্পনা করি, লোভের ভূমিকা সর্বগ্রাসী। মানবিক সদ্গুণ প্রতিষ্ঠা দেওয়ার অবিরত চেষ্টা কি তবে মাঠে মারা যাবে? শিল্প-সাহিত্য-সঙ্গীত, সমাজ-অর্থনীতি-রাজনীতি, ব্যবসা-চিকিৎসা-শিক্ষা, কূটনীতি-যুদ্ধ-শান্তি হেন কোনো শাস্ত্র বা চর্চা নেই, যা প্রয়োগ করতে গেলে লোভকে সামলে-সুমলে চলতে হয় না।

বইমেলা ঘিরে যেসব প্রত্যাশা

 লিঙ্ক : ডেইলিস্টার.কম

ছবি: সংগৃহীত

ফরাসি দার্শনিক রেনে দেকার্ত বলেছিলেন—'ভালো বই পড়া মানে বিগত শতকের সেরা সব মানুষের সঙ্গে কথা বলা।' একটি সুন্দর জাতি তৈরি করতে হলে বইয়ের বিকল্প নেই। একটি ভালো বই বহু মানুষের অনর্থক সঙ্গ থেকে উত্তম হতে পারে। প্রতিবছর 'একুশে বইমেলা' আসে। সেই মেলাকে ঘিরে তৈরি হয় বহু মানুষের স্বপ্ন-কল্পনা।

সাহিত্য সংস্কৃতিতে বিপ্লবের দায় ও মুক্তি

ডেইলি স্টারে পাঠের লিঙ্ক

বিপ্লবের কোনো দেশ নেই। একটি জনগোষ্ঠী দ্বারা সংঘটিত হলেও, তাতে আছে সবার অধিকার। বিপ্লব একটি বাস্তব ঘটনা, যা ঘরে বসে হয় না। অনলাইন এক্টিভিজম মনোজাগতিক পরিবর্তনে দরকার হলেও, মাঠে থাকার বিকল্প নেই। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ থেকে ২০২৪-এর অভ্যুত্থানের প্রধান স্পিরিট পরিবর্তন। কেনো বা কার জন্য এ-পরিবর্তন? বিপ্লবে শিল্পসাহিত্য কাজে আসে? বিপ্লব-পরবর্তী শিল্পীদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত? উত্তর একবারে দেওয়া কঠিন।

জন্মশতবর্ষ : সমরেশ বসুর অন্তরে বাংলাদেশ

 জন্মশতবর্ষ ডেইলি স্টার লিঙ্ক 

স্কেচটি নেট থেকে সংগৃহীত

'এলো স্বাধীনতা ও দেশবিভাগ। দেশবিভাগকে আমি অন্তর থেকে কোনো-কালেই মেনে নিতে পারি নি।'

দেশ ছেড়ে গেলেও সমরেশ বসুর অন্তরে ছিল জন্মভূমি। 'আদাব', 'জয়নাল', 'জলসা', 'নিমাইয়ের স্বদেশযাত্রা' প্রভৃতি গল্পে রয়েছে মাতৃভূমির জন্য আবেগ, যন্ত্রণা ও ক্ষত। তবে গল্পে থাকলেও উপন্যাসে তা বিলম্বিত স্বর। দেশভাগেরও কয়েক দশক পরে 'সুচাঁদের স্বদেশযাত্রা' ও 'খণ্ডিতা' উপন্যাসে পুনরায় স্মৃতিকাতরতা এসেছে। যন্ত্রণা ও স্মৃতি পোক্ত হয়ে, তখন প্রায় ঝরে যাবার জন্য প্রস্তুত। সত্তরদশক লগ্নে তাঁকে পুনশ্চ পেছন ফিরে তাকাতে দেখি। এর কারণ বোধহয় তীব্র আত্ম-অন্বেষণ, স্মৃতি-নস্টালজিয়া, অভিবাসী-উদ্বাস্তু মানুষের যন্ত্রণা।