আল মাহমুদ : কবির পাশে নীরবে দাঁড়ানো কথাসাহিত্যিক

বাংলা ট্রিবিউনে ছাপা : লিঙ্ক : বাংলা ট্রিবিউন 

‘আমি চলে গেলে এ পারে আঁধারে কেউ থাকবে না আর;

সব ভেসে গেছে এবার তবে কি ভাসাবো অন্ধকার?
আলো-আঁধারির এই খেলা তবে আমাকে নিয়েই শেষ
আমার শরীর কাঁপছে যেমন কাঁপছে বাংলাদেশ।’
—আল মাহমুদ
 
পৃথিবীখ্যাত কবি টি.এস. এলিয়ট হয়ে উঠলেন ফ্যাসিবাদের সমর্থক। আধুনিক মার্কিন কাব্য-আন্দোলনের দ্রষ্টা এজরা পাউন্ডও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হলেন মুসোলিনির মর্মসঙ্গী। ফরাসি সিম্বলিস্ট কবি জাঁ আর্তুর র‌্যাবো রাষ্ট্রবিরোধী চোরাচালানে যুক্ত হলেন। এই খাপছাড়া আচরণগুলোর জবাব নেই। শিল্পী ভিন্নজগতের কেউ নন, অনেকের মতোই স্খলিত পতন-উন্মুখ মানব। আল মাহমুদও যেন নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গেলেন। আত্মঘাতি বাঙালি কবি হারিয়ে ফেললেন শুদ্ধতম স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার স্বদেশ। তিনি আমাদের সাহিত্যবিশ্বে এক অমীমাংসিত কাব্যপুরুষ, সৌরতাপিত আকাশে মোমগলা ইকারুস। যদিও কবিতায় ‘আত্মবিক্রয়ের স্বর্ণ কোনোকালে সঞ্চয়’ করেননি। তাঁর নিজের ভাষ্যে, ‘কবিতাকে ধর্ম দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। শাস্ত্র চিরকাল নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয় শিল্পের কাছে।’ 

আল মাহমুদের কবিতার কাছে যে আমাদের চিরকালীন ঋণ। কবিতা তো মুহূর্তের টানে এঁকে নেয় হার্দিক খনন। সুবোধ ঘোষ বলেন, ‘যে কবিতা প্রথমবার পাঠ করার সাথে সাথেই বিদ্যুচ্চমকের মতো ভালো লেগে যায়, তারপর সমস্ত জীবন বারবার ফিরে যেতে হয় তার কাছে, সেই কবিতাই উৎকৃষ্ট কবিতা।’ আল মাহমুদেরও এমন কিছু কবিতা আছে, যা প্রথম পাঠেই পাঠকের হৃদয়কে হরণ করে। সেই কবিতার সঙ্গে বসবাস ছাড়া এরপর আর অন্যকিছুতে মন ওঠে না। বিশ্বাসযোগ্য পরিসীমায় এই যেন আল মাহমুদ সম্পর্কে সরলতম সত্য ভাষণ। বিশ্বাসের ‘মায়াবী পর্দা দুলে’ উঠলেও তিনি যেন বলবেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক’। 

‘সোনালী কবিন’, ‘কালের কলস’ ‘লোক লোকান্তরে’র কবিকে যেভাবে চেনা যায় তিনিই সত্য কাব্যস্রষ্টা। পঞ্চাশ দশকের প্রতিশ্রুতিশীল বাংলা কাব্যজগতে সগর্বে দাঁড়ানো এই কবির জীবনে প্রবল ভাঙচুর আর নিয়ত অভিঘাত। তিনি অন্তর-নিবিষ্ট লোকমানসের কবি, বিপ্লবী, সাম্যবাদী, ফসলের সমান অধিকারে লড়াকু। আত্মবিস্ফোরিত এক মহান প্রতিভাকে পাঠক তো নিবিড় করেই পেতে চায়। কবি আল মাহমুদ কেবল একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। তিনি জনতার মঞ্চে কেবল কবি হতে আসেননি। বিশ্বদৃষ্টির আয়ত-অন্বেষণেই তিনি সব্যসাচী শিল্পী হতে চেয়েছিলেন। স্বীয় জীবনের প্রবল প্রতিঘাতের দিনে কথাসাহিত্যের গদ্য-বাতায়নে এসে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। বিশ্রামের ফসল নয়, যেন প্রভাতের স্বাস্থ্যকর হাওয়াই শ্বাসযন্ত্র ভরে নিতে চেয়েছিলেন। তাঁর লেখা মানেই নতুন স্বাদ-গন্ধের নির্মাণ। স্বীকারও করেছেন, কবি হবার আগে তিনি গদ্যশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। ফলে আল মাহমুদ কালক্রমে যাত্রা করবেন এক ব্যক্তিক-দার্শনিক অনুসন্ধানের দিকে। সেই দর্পিত পদচিহ্নও তিনি রেখে যাবেন তাঁর প্রিয় পাঠকদের জন্য। লেখা তো ভারমুক্তিরই অন্য নাম। ইতালো কালভিনো যাকে বলতে চেয়েছিলেন ‘সত্তার ভারমুক্তি’। কবিতায় হয়তো অনেক কিছু অপ্রকাশ্য-অপ্রবেশ্য থেকে যায়। তাই বৈকল্পিক সত্যে গদ্যকে অবলম্বন করতে হয়।

মানুষের জীবনে থাকে অনিবার্য উদ্বেগ, আশঙ্কা, স্বপ্নহীনতা কিংবা দুঃস্বপ্নের চাপ। আল মাহমুদ অভিজ্ঞতার বিশ্বকে কাহিনি-চরিত্র অথবা প্রকাশক্ষম ভাষা ও দর্শনের মধ্য দিয়ে সামনে আনতে চেয়েছেন। তিনি স্বপ্ন, অভিজ্ঞতা, মানসবিভ্রম, প্রেম-ভালোবাসা, যৌনতা, বিশ্বাসভঙ্গ ও বিশ্বাসের জটিল প্রতিচ্ছবি অঙ্কন করেছেন। সংগ্রামী জীবনের প্রতিঘাত, অভিযাতনা আর আঞ্চলিক সৌষম্যে তিনি প্রস্তুত করেছেন চরিত্রের ভেতর-বাহির। আর এভাবেই তিতাসের নিবিড়প্রকৃতি, নদী-খাল, কাদামাটিতে লেপ্টে থাকা লোকভূমিকে অত্যন্ত আপন করে কথকতায় নিয়ে এসেছেন। শিল্পসাহিত্যে সীমিত ভৌগোলিক পরিসীমা পেরিয়ে যায় মানবিক অন্তর্দাহন। সেখানে কোনো সাহিত্যই আঞ্চলিক থাকে না, হয়ে ওঠে আন্তর্জাতিক। অন্যদিকে আল মাহমুদের কথাসাহিত্য যেন জীবনের ভয়াবহ কৌতুকের চকিত ছটা। জীবনের প্রবলতা  তিনি অঙ্কন করেন নির্মেদ নির্ঝর গদ্য-আবহে। সেখানে সত্য হয়ে ওঠে এক অনন্য বাংলাদেশ। 

‘আমি এমন এক গ্রাম বাংলাকে উপস্থাপন করতে চেয়েছি, যে গ্রাম বাংলা ভেঙ্গে পড়া ঠিক জসীমউদ্দীনের বাংলাদেশও না। আবার জীবনানন্দ দাশের বাংলাদেশও না। জসীমউদ্দীন ও জীবনানন্দ দাশের বাংলাদেশে এক ধরনের রূপকথা আছে, একটা স্বপ্ন আছে। কিন্তু আমার দেখা বাংলাদেশ একদমই রূঢ়। এ বাংলাদেশ নদীর পাড় ভাঙা বাংলাদেশ। গ্রামকে গ্রাম বিলীন হওয়া বাংলাদেশ।’

প্রত্যেক বড় লেখকই হয়তো তাঁর আত্মার প্রতিধ্বনি নিজের মধ্যে টের পান। আল মাহমুদও ব্যতিক্রম নন। গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁকে উচ্চারণ করতে শুনি : ‘তোমরা আমাকে বোঝোনি। আমি বলি না বুঝবে না, বুঝবে। তবে তখন আমি আর থাকবো না। তবে এটা মনে রেখো, বাংলা সাহিত্যে যারা কিছু করতে চাও, আমাকে তোমার পাঠ করতেই হবে। এটা আমার আত্মবিশ্বাস।’ ইতোমধ্যে পেরিয়ে গেছে আধুনিক বাংলা উপন্যাস ও গল্পের শত বছর। রবীন্দ্র-পরবর্তীকালে বহু কবির হাত ধরেই বাংলা কথাসাহিত্যের আঙিনা বিধৌত। জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হক কিংবা সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় মূলত কবি। তাঁরা কবি হয়েও চমৎকার গদ্যশিল্পী, আল মাহমুদও তা-ই। ১৯৭৩ সালে ‘সোনালী কাবিন’ প্রকাশের পরপরই কথাসাহিত্যিক হিসেবে তাঁর আবির্ভাব। এরপর অবিরত ধারায় ‘পানকৌড়ির রক্ত’, ‘সৌরভের কাছে পরাজিত’, ‘গন্ধবণিক’-এর মতো অসংখ্য শিল্পসফল গল্প তিনি রচনা করেছেন। আত্মজৈবনিক গদ্য ‘যেভাবে বেড়ে উঠি’ থেকেই যেন বড় গদ্যের স্বপ্নবীজ তাঁর হৃদয়ে অঙ্কুরিত। প্রথম সার্থকতা পেলেন ‘ডাহুকী’ (১৯৯২) রচনায়। এ-প্রেরণাই তাঁকে উপন্যাস-সৃষ্টির পথকে উন্মুক্ত করলো। ক্রমে ‘কবি ও কোলাহল’, ‘উপমহাদেশ’, ‘কাবিলের বোন’ ‘পুরুষ সুন্দর’, ‘নিশিন্দা নারী’, ‘মরু মুষিকের উপত্যকা’, ‘আগুনের মেয়ে’ রচিত হলো। অন্যান্য গৌণ উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে ‘যে পারো ভুলিয়ে দাও’, ‘পুত্র’, ‘চেহারার চতুরঙ্গ’ ইত্যাদি।

ব্যতিক্রমী কিছু কারণে আল মাহমুদের উপন্যাস পাঠক-আবেদন সৃষ্টি করেছে। বিষয়ের অভিনবত্ব, কারুশৈলীর ভিন্নতা, সহজ অথচ তীক্ষ্ণ ভাষার জন্য তাঁর উপন্যাস পাঠক-সমাদৃত হয়েছে। সুবিশাল প্রেক্ষাপট ধরে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘কাবিলের বোন’ উপন্যাসের আখ্যান। জ্বলজ্বলে এক মানবিক পৃথিবীর ছবি তিনি অঙ্কন করেছেন গভীর মমতায়। ‘পুরুষ সুন্দর’ নারী-সমকামিতা নিয়ে লেখা বাংলা ভাষায় উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ‘নিশিন্দা নারী’তেও রয়েছে  ‘কাবিলের বোন’-এর মতো নারীজীবনের দুঃখজর্জর যন্ত্রণা। উপন্যাসে তীব্র গভীর জীবনবোধ সৃষ্টিতে আল মাহমুদ যেন পিছিয়ে নেই। হয়তো সাংবাদিকসুলভ বিবৃতি কখনো তাঁর সাহিত্যগুণকে ন্যূনতা দিয়েছে। কিন্তু জীবনের সচকিত আবেগ, বিদ্রূপ আর কারুণ্যকে তিনি ঠিকই দক্ষ শিল্পীর মতো তুলে এনেছেন।  
 
আল মাহমুদের গল্পও তাঁর কথাসাহিত্যিক প্রতিভার অনন্য নজির। বিশেষত চিত্রকল্প নির্মাণে তিনি অত্যন্ত দক্ষ। ‘পানকৌড়ির রক্ত’, ‘জলবেশ্যা’, ‘সৌরভের কাছে পরাজিত’, ‘গন্ধবণিক’, ‘কালো নৌকা’, ‘ময়ূরীর মুখ’, 'স্বপ্নের ভেতর হাঁটাচলা', ‘তুষের আগুন' প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য গল্প। পাঠককে গল্পের অন্তর্দেশে  নিয়ে যাবার ক্ষমতা তাঁর অসাধারণ। একথা বহুবার প্রমাণিত যে, কবির হাতে গদ্য সবসময়ই আন্তরিক আবেগের স্পর্শযুক্ত। রবীন্দ্রনাথ, প্রেমেন্দ্র মিত্র, বুদ্ধদেব বসু, সৈয়দ শামসুল হক প্রমুখের লেখা এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এমনকি কবি নন, নিরেট কথাশিল্পীর গদ্যশৈলীও কখনো কখনো আবিষ্ট করে। যেমন, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, কমলকুমার মজুমদারের উপন্যাসের দুষ্প্রবেশ্য আলঙ্কারিক ভাষাকে ‘কবিতা’ বলতে চেয়েছেন। এমনকি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিভা যে কাব্য-অঙ্কিত, সেকথাও অনেকে একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন। আল মাহমুদের গদ্য কবির নিবিষ্ট অন্তর্লোকের আলোয় উদ্ভাসিত—অস্বীকার করার কিছু নেই। তাঁর অনন্য গদ্য-ক্ষমতাই ‘জলবেশ্যা’র পাঠককে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায়। কাব্যিক ব্যঞ্জনা ও ভাষার কারুকার্যে স্নায়ু হয়ে ওঠে সদাচঞ্চল। তীব্র মাদকতায় উচ্ছ্বাসে প্রবল হয়ে ওঠে এক উল্লাসপ্রবণ আদিমতা। যেন সশব্দে ভেঙে পড়ে লিবিডো-কাতর মানুষের আপাত শ্লীল-অশ্লীলতার সীমারেখা। অন্যদিকে চরিত্র হিসেবে আবিদ ব্যাপারী আর বেহুলারূপী বেদেনির পরিণতি বেদনায় ঘন করে তোলে পাঠক-মন। আল মাহমুদের কথায়:
‘জলবেশ্যা আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জেগে উঠেছে। আমার নিজের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আমি যা দেখেছি, তাই উঠে এসেছে গল্পটিতে। জলবেশ্যাদের তো আমি নিজের চোখে দেখেছি, কথা বলেছি। তারপর তাদের নিয়ে লিখেছি।’ 

আল মাহমুদ চিরন্তন প্রেম-বিরহকে অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্ততা দিয়ে প্রকাশ করেন। ‘কালো নৌকা’ গল্পে তিনি মানুষের সহজাত মনোবৃত্তির ছবি আঁকেন। তবুও ব্যতিক্রমী চরিত্র সৃষ্টি হয় সেখান থেকেই। 'স্বপ্নের ভেতর হাঁটাচলা' গল্পে মুস্তফা স্বপ্নের ভেতর দয়িতার কাছে পৌঁছে যায়। কিন্তু নারী চরিত্র সবিতা সেখানে নির্বিকার। শরীরী কি মানসী প্রেম নয়, স্বীয় জীবনের সংগ্রামী মনোভাবই তার মধ্যে মুখ্য। 'ভেজা কাফন' গল্পও জটিল প্রেমের বিক্ষত রূপ। ‘ময়ূরীর মুখ’ গল্পে নদীর মতোই অবিরাম বয়ে যায় ভালোবাসার নদী। জীবন সবসময় সরলরেখার নয়। প্রবল কৌতুক আর চরম আয়রনি জীবনের পরতে পরতে। ‘গন্ধবণিক'-এর গন্ধবণিক চরিত্রটি যেন এক ভয়াবহ কৌতুক-আয়রনি। জীবনভর যে-ব্যক্তি সুগন্ধি আতর বিক্রি করে সে-ই কিনা মৃত্যুর সময় পচা-গলা দুর্গন্ধ লাশ! মনস্তাত্ত্বিক গল্প ‘তুষের আগুন'-এ সময়-সমকাল-চরিত্র সবই যেন জটিল ও প্রশ্নবিদ্ধ।

আল মাহমুদের গল্প-উপন্যাসের একটি বড় ক্ষমতা আঞ্চলিক শব্দ। যথাযথ শব্দ-নির্বাচন ও প্রয়োগ তাঁর কথকতায় সবসময় সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। অন্যদিকে তাঁর কথাসাহিত্যে যতই ভিন্নসত্তার অন্বেষণ চলুক, কবি আল মাহমুদই যেন বারবার উঁকি দিয়ে যান। তাঁর কবিতা এতো শক্তিশালী যে, নিষ্প্রভ হয়ে যায় অন্য সকল সৃষ্টি। আল মাহমুদ হয়তো বেঁচে থাকবেন তাঁর কবিতায়। ‘সোনালী কাবিন’, ‘লোক-লোকান্তর’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘কালের কলস’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’ কিংবা ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’র অমর শিল্পী তিনি। অন্যদিকে ‘কাবিলের বোন’ ‘পুরুষ সুন্দর’, ‘নিশিন্দা নারী’ উপন্যাস কিংবা ‘পানকৌড়ির রক্ত’, ‘জলবেশ্যা’, ‘গন্ধবণিক’, 'স্বপ্নের ভেতর হাঁটাচলা', ‘তুষের আগুন' প্রভৃতি ছোটোগল্পের মধ্যে দিয়ে তিনি কালে কালে স্মরণীয় বলে বিবেচিত হবেন। তবুও, শেষে কী যেন অনাদায়ী রয়ে গেল! চমৎকার সব গল্প-উপন্যাসের স্রষ্টা এই কবি এক সাক্ষাৎকারে অভিমান করে বলেছিলেন:
‘আমার কাঁধে বিরাট সংসার। আমার রোজগার দিয়ে ছেলেমেয়েদের বড় করতে হয়েছে। ভালো কোনো চাকরি আমাকে কেউ দেয়নি। প্রচুর শ্রম দিতে হয়েছে। নানা ধরনের গদ্য লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু করতে পারলাম না।’

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন