[কবির হাতে গল্প। তা তো কবিতার মতোই প্রহেলিকা কিংবা রহস্য। শামীম রেজার গল্পে জীবনের এই অনির্দেশ সম্ভাবনার প্রতি একটা গভীর আস্থা আছে। তিনি শুধু কাহিনি বুনন করেন না, গল্পের বাস্তবতার মধ্যে প্রবেশ করে দেন ইতিহাস আর সমকালকে। কখনো লৌকিক পুরাণ, পরনকথার বেলোয়ারি, আবার সাধারণ-অসাধারণ মানুষের অবাধ চলাচল একই যাত্রায় ঘটে। সবচে বড় কথা, কেবল জীবনকে খুঁড়ে দেখা নয়, শিল্পকে খনন করতে করতে তিনি পৌঁছে যান এক অসীম নিরালোকে। শিল্পের স্ফুটনে সেখানে জন্ম নেয় এক অনাদায়ী বিশ্ব। সেই বিশ্ব পরিভ্রমণ করতে করতেই আবার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। আর প্রতিটি কাহিনি এক নতুন মোড়কে নতুন আবেশে আচ্ছাদিত হয়। ঠিক যেমন মেঘের বুকে কোনো চিহ্ন রাখা সম্ভব হয় না, তেমন। কেবল ঘুরপাক খেয়ে খেয়ে নতুন আকার নিতেই থাকে। যাই হোক, ‘ঋতুসংহারে জীবনানন্দ’ পাঠ এক বিস্ময়ের বেলাভূমিতে দাঁড় করায়। সেখান থেকেই প্রশ্নের জন্ম। আর সেসব প্রশ্ন থেকেই স্বয়ং লেখকের কাছেই অন্বেষণ-প্রত্যাশা। অন্যদিকে রয়েছে শীঘ্র সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশিত অসমাপ্ত পাণ্ডুলিপি ‘ভারতবর্ষ’। যেন আরো এক ভিন্ন আবিষ্কার। এ-আখ্যানে কথাসাহিত্যিক হিসেবে শামীম রেজা অভিনবত্বের সঙ্গে বাংলার ইতিহাস তথা উপমহাদেশীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কালপর্ব উপস্থাপন করেছেন। মনে হয়, অনেক তথ্য নথি ঘেঁটে সত্য ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এখানে কল্পনার চেয়ে বাস্তব অধিকতর জ্বলজ্বলে। আর এসব জানতে ও বুঝতে আজকের এই আলাপের প্রস্তাবনা।] বিস্তারিত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন