বিশ্বসঙ্গীতের একটুকরো কথা

 

সঙ্গীত আত্মার প্রতিধ্বনি আর সঙ্গীতের স্বর বিশ্বজনীন। দেশে দেশে বিষয় ও ভাববস্তু আলাদা হলেও, সঙ্গীতের অন্তর্গত ঐক্য চৈতন্যের গভীরে প্রোথিত। হয়তো কেউ কেউ গান গাইতে পারেন না। কিন্তু সুরের স্বর তাদেরকে মুগ্ধ করে। বাঁশী, সেতার কিংবা বেহালার সুর মুগ্ধ করে না, বিমোহিত চৈতন্য সৃষ্টি হয় না—এমন মানুষ বিরল। সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি উপমহাদেশ ছাড়াও মোটামুটি বিশ্ব ঐতিহ্যে সমরূপ। কোথাও সপ্তস্বরের পরিবর্তে পঞ্চস্বর থাকলেও স্বরের খাদ নির্ভরতায় সমস্বরেই আবির্ভূত হয়। অর্থাৎ সপ্তস্বর একটি বিশ্বজনীন ব্যাপার। মানুষের ভাষার ধ্বনি যখন লিখিত রূপ পায়, তখন তা হয় বর্ণমালা। আর সঙ্গীতের স্বর লিখিত হলে, তা হয় স্বরলিপি। বর্ণমালায় মিল না থাকলেও, সঙ্গীতের স্বরের জগতে রয়েছে অপূর্ব মিল। আবার মানুষে মানুষে ভাষা ও উচ্চারণ স্বতন্ত্র হলেও, সঙ্গীতের ভাষা মূলত এক। বাদ্যযন্ত্রের প্রকৃতি আলাদা হতে পারে, কিন্তু বাদ্যযন্ত্র থেকে উদ্গত সুরে কোনো পার্থক্য নেই। তাই সঙ্গীত মানুষে মানুষে ভাষা ও ভাবের পার্থক্য সত্ত্বেও, চিত্তকে একীভূত ও আত্মাকে দ্রবীভূত করতে পারে। 

দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গীত

ভারতের সংগীত ঐতিহ্য সপ্তস্বর ভিত্তিক। এই স্বরব্যবস্থা হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটক – দুই ধ্রুপদী ধারাতেই ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত রাগ-ভিত্তিক, যার মধ্যে থাকে আবহ, আবেগ এবং সময়ভেদে সুরের বিভিন্নতা। ভারতীয় সংগীত একটি গভীর ও কাঠামোগত ধ্রুপদী পদ্ধতি। হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটক দুই ধারায় ব্যবহৃত সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি (Sa, Re, Ga, Ma, Pa, Dha, Ni) সপ্তস্বরের এই ধ্বনিগুলোর সঙ্গে জুড়ে আছে রাগ ও তালের বিষয়।

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে সংগীতের স্বরব্যবস্থা, ধ্রুপদী কাঠামো এবং সংগীতরীতি মূলত উপমহাদেশীয় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত-নির্ভর। তবে, সময়ের সঙ্গে এই দেশগুলোর নিজস্ব সাংস্কৃতিক ও লোকজ বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে মিশে গিয়ে ভিন্নতর স্বাদ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের সঙ্গীত সাধারণত সাহিত্যমূল্য নির্ভর। এর অন্যতম ভাব গ্রামীণ বা লোকজ ও বাউল ফকির ঘরানার। বাংলাদেশের সরগম / সুর পদ্ধতি: সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি। আগেই বলা হয়েছে যে, তা ভারতীয় হিন্দুস্তানি সংগীতের মতোই। এতে কোমল (নরম) ও তীব্র (উচ্চ) স্বরের ব্যবহার অনেকটাই রাগভিত্তিক। বাংলাদেশের সংগীতে রাগভিত্তিক শিকড় থাকা সত্ত্বেও তা লোকজ, সাহিত্যনির্ভর ও আবেগপূর্ণ প্রকাশের ঐতিহ্যে বিশেষায়িত। রাগ-ভিত্তিক ধ্রুপদী সংগীতে ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি প্রচলিত। লোকসংগীতে (বাউল, ভাটিয়ালী, জারি, সারি, মারফতি) সরগমের ব্যবহার সহজীকৃত বা পরিবর্তিত। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লালনগীতিতে রাগ ও লোকজ সুরের মেলবন্ধন ঘটে। এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলন ও সমাজচেতনা প্রভাবিত দেশাত্মবোধক গান বাংলাদেশের একটি অনন্য ধারা।

বাংলাদেশ বাদে উপমহাদেশীয় সঙ্গীতের যে সাত স্বর তা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানে একইরকম। পাকিস্তানের সঙ্গীতে প্রভাব রয়েছে ইসলামি ভাবধারা, সুফিবাদ ও উর্দু কবিতার। পাকিস্তানি সংগীতের সরগম / সুর পদ্ধতি একেবারে একই: সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি। সেখানে হিন্দুস্তানি ধ্রুপদী ঘরানা প্রচলিত এবং শ্রদ্ধেয়, বিশেষ করে পাটিয়ালা, গওয়ালিয়ার, দিল্লী ঘরানা ইত্যাদি। সেখানে ধ্রুপদী ও সেমি-ক্লাসিক্যাল সংগীত অত্যন্ত সমৃদ্ধ। পাকিস্তানের সংগীত মোটাদাগে রাগভিত্তিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এই ধারা আসলে সুফি, ইসলামি ও কবিতানির্ভর ঘরানার সংমিশ্রণ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, উস্তাদ নুসরাত ফতেহ আলী খানের কাওয়ালি ও গজল, ফরিদ আইয়াজের কাওয়ালি, আবিদা পারভীন প্রমুখের সুফি ঘরানার সঙ্গীতের কথা। সুফি সংগীত মূলত ইসলামি আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে রাগ-তাল-তান ভাঙিয়ে সৃষ্ট অনন্য ধারার গান। অন্যদিকে কাওয়ালি হচ্ছে একধরনের দলবদ্ধ রাগভিত্তিক গানের ধারা। সেখানে থাকে দরবেশিয়ানা প্রভাব। আর গজল মূলত কবিতানির্ভর সংগীত। সেখানে সরগম ব্যাকরণ থাকলেও রস-আবেগের গুরুত্ব বেশি।

ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান ছাড়া নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানের সঙ্গীত প্রসঙ্গে বলা যায়— সেগুলোও বিশেষ কারণে নিজস্বতায় সমৃদ্ধ। নেপালে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীত জনপ্রিয়। নেপালি ক্লাসিকাল বা লোকসংগীতে ভারতীয় সরগম ব্যবহৃত হয়। সেখানকার অনেক শিল্পী ভারতীয় ঘরানায় তালিমপ্রাপ্ত। শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধধর্মীয় গানের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সংগীতের প্রভাব রয়েছে। ভারতীয় রাগ-সংগীত শ্রীলঙ্কার সংগীত শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে ভুটানের সঙ্গীতে একটু ভিন্নতা রয়েছে। যদিও ভুটানিজ লোকসংগীত মূলত তিব্বতীয় বৌদ্ধ ঐতিহ্য নির্ভর, তবে ভারতীয় ধ্রুপদী সংগীতের শিক্ষায় সরগম ব্যবহৃত হয় (বিশেষ করে যারা ভারতের সংগীত প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা নেয়)।


বলা যায় যে, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই কোনো না কোনোভাবে সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি ব্যবহৃত হয়। এগুলো প্রধানত ব্যবহৃত হয় ধ্রুপদী সংগীতের মাধ্যমে। এর বাইরে সেসব স্থানে লোকজ ও আধুনিক ধারার প্রভাব বিদ্যমান।

এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চল

চীনের সঙ্গীতে (Chinese Music) পঞ্চস্বর বা পেন্টাটোনিক স্কেল ব্যবহৃত হয়। এর মূল স্বর ৫টি : Gong (宫), Shang (商), Jue (角), Zhi (徵), Yu (羽)। এরা অনেকটা ভারতীয় সা-রে-গা-মা-পা ধরনের, কিন্তু স্বরের সংখ্যা ও চরিত্র ভিন্ন। জাপানে Yo scale ও In scale নামে পরিচিত স্কেল ব্যবহৃত হয়। সেখানেও পঞ্চস্বর বা পেন্টাটোনিক স্কেল বেশি প্রচলিত। জাপানি সুর কিছুটা মিষ্টি ও ধ্যানমগ্ন প্রকৃতির। ইন্দোনেশিয়ায় ব্যবহৃত হয়  Gamelan Music. এই ‘গামেলান সংগীত’ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার ঐতিহ্যবাহী, আধ্যাত্মিক এবং অত্যন্ত সূক্ষ্ম বাদ্যযন্ত্রভিত্তিক একটি সঙ্গীতধারা। এটি মূলত জাভা, বালি এবং সুলাওয়েসি দ্বীপাঞ্চলে গড়ে উঠেছে। এই সঙ্গীতের রয়েছে দুটি স্কেল: Slendro (৫ স্বর) ও Pelog (৭ স্বর)। স্বরগুলোর মধ্যকার ব্যবধান ভারসাম্যহীন এবং ধ্রুপদী পশ্চিমা সংগীত থেকে আলাদা।

পারস্য সঙ্গীত

ভারতীয় সংগীত ও ইরানি (পারস্য) সংগীত উভয়ই বিশ্বের প্রাচীনতম ও সমৃদ্ধ ধ্রুপদী সংগীতধারা। তা হলেও, এদের স্বরপদ্ধতি, রচনাশৈলী, আবেগপ্রকাশ ও সাংগীতিক কাঠামোর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। ইরানী সংগীতের ঐতিহ্য প্রাচীন ও সমৃদ্ধ, যা পারস্য সংগীত বা Classical Persian Music নামে পরিচিত। ইরানি সংগীতে রয়েছে ভারতের মতো স্বর বা সুরের ব্যবহার। তবে তাদের নিজস্ব ধ্বনি-পদ্ধতি এবং রাগজাতীয় কাঠামো আছে, যাকে বলা হয় ‘দস্তগাহ’ (Dastgah)। ভারতীয় সংগীতে যেমন রাগ, ইরানে তেমনই দস্তগাহ دستگاه নামে স্কেল বা মোড ব্যবহৃত হয়। মোট ৭টি প্রধান দস্তগাহ রয়েছে: 

১. دستگاه شور — দস্তগাহ-ই শুর; 

২. دستگاه ماهور — দস্তগাহ-ই মাহুর; 

৩. دستگاه همایون — দস্তগাহ-ই হোমায়ুন; 

৪. دستگاه سه‌گاه — দস্তগাহ-ই সেগাহ;

৫. دستگاه چهارگاه — দস্তগাহ-ই চাহারগাহ; 

৬. دستگاه نوا — দস্তগাহ-ই নাভা; 

৭. دستگاه راست‌پنجگاه — দস্তগাহ-ই রাস্ত-পাঞ্জগাহ

প্রতিটি দস্তগাহের আবার উপমোড থাকে, যাদের বলা হয় গুষে (Gushe)। ফারসিতে "گوشه" (গুষে) শব্দের অর্থ হলো "কোণ" বা "প্রান্ত"।

ইরানি সংগীতের স্বরপদ্ধতি : ইরানি সংগীতে ৭টি মূল স্বর (সুর বা Notes) ব্যবহৃত হয়, যা অনেকটা পাশ্চাত্য সংগীতের মতো: Dore (دو), Re (ر), Mi (می), Fa (فا), Sol (سل), La (لا), Si (سی)। তবে পার্থক্য হলো, ইরানিরা মাঝে মাঝে microtones (একটি স্বরের চেয়ে ছোট ধ্বনি, যেমন সাড়েঘর বা পৌনে স্বর) ব্যবহার করেন। এদের বলা হয়, ‘কোরোন’ (كُرُن)  ও  ‘সোরি’ (سُری)। ‘কোরোন’ (كُرُن) হচ্ছে স্বরের নিচে একধাপ নামানো (প্রায় পৌনে স্বর) এবং সোরি (سُری): স্বরের একটু উপরে ওঠানো (প্রায় সাড়ে স্বর)। এই কারণে পারস্য সংগীত অনেক বেশি আবেগপ্রবণ, সূক্ষ্ম এবং রাগভিত্তিক শোনায়।

পশ্চিমা সঙ্গীত (Western Music)

পশ্চিমা সংগীত একটি বিস্তৃত, বহুস্তরবিশিষ্ট এবং বহুবিধ ঘরানার সমষ্টি হলেও, কিছু মূল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা এটিকে অন্যান্য সংগীতধারার তুলনায় আলাদা করে তোলে। পশ্চিমা সংগীতে একাধিক স্বর একসাথে বাজিয়ে সুর তৈরি করার রীতি, যাকে বলা হয় হারমোনি। এটি তার একটি কেন্দ্রীয় বৈশিষ্ট্য। যেখানে ভারতীয় বা ইরানি সংগীত মূলত একক সুর (মেলোডি) ভিত্তিক, সেখানে পশ্চিমা সংগীত একইসাথে বিভিন্ন সুরধ্বনি (চোর্ড, মাল্টি-ভয়েস) একত্রে ব্যবহারে শ্রুতি গভীরতা তৈরি করে। পশ্চিমের নোটগুলোর সঙ্গে ইরানীয় সুরের (নোট) মিল রয়েছে: Do, Re, Mi, Fa, Sol, La, Ti (বা C, D, E, F, G, A, B)। পশ্চিমা সরগম ডায়াটনিক স্কেল (major/minor) ভিত্তিক। মূলত সমান সমান সেমিটোনে বিভক্ত ১২টি নোট ব্যবহৃত হয়। এতে সুর তৈরির জন্য নির্দিষ্ট স্কেল বা ধ্বনির ধারা ব্যবহৃত হয়—বিশেষ করে Major (উজ্জ্বল, আনন্দময়) ও Minor (বিরহময়, বিষণ্ন) স্কেল। এছাড়া আছে Mode (Dorian, Phrygian, Lydian ইত্যাদি)। পশ্চিমা ধ্রুপদী ও আধুনিক উভয়প্রকার সংগীতে এগুলো ব্যবহৃত হয়। পশ্চিমা সংগীত তাল বা ছন্দ নির্ধারণ করে Time Signature-এর মাধ্যমে (যেমন 4/4, 3/4, 6/8)। এই নির্দিষ্ট মাত্রায় সংগীত চলে—যা একে অত্যন্ত গাণিতিক ও কাঠামোবদ্ধ করে তোলে। ড্রামস বা পারকাশন এই তাল বজায় রাখতে সাহায্য করে।

পশ্চিমা সংগীতে Staff Notation ব্যবহার করে সুর, তাল, লয়, উচ্চতা, গতি—সব কিছু লিখে রাখা হয়। এটি চর্চা, পরিবেশনা ও সংরক্ষণের জন্য অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। বলা চলে, বিশ্বজুড়ে সংগীতশিক্ষার ভিত্তি এটি। বিশেষত ক্লাসিকাল ও অপেরা সংগীতে নাট্যধর্মিতা, চরিত্র ও আবেগ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। সঙ্গীত, কণ্ঠ, অর্কেস্ট্রা এবং দৃশ্যপট মিলিয়ে পশ্চিমা সঙ্গীতের একটি সিম্ফনি বা অপেরা পুরো একটি গল্প উপস্থাপন করতে পারে। পশ্চিমা সংগীতের অন্যতম লক্ষ্য থাকে শ্রুতিমাধুর্য রক্ষা করা। এছাড়া আবেগের ঘনত্ব ও দর্শনেরও প্রকাশ থাকে। আবার তা একইসঙ্গে বিনোদনমূলক, থিয়েট্রিকাল ও বাণিজ্যিকও হতে পারে (যেমন: পপ, রক, জ্যাজ, ব্লুজ, হিপ-হপ)। পশ্চিমা সংগীত হলো হারমোনির শিল্প, কাঠামোর বিজ্ঞান, তা আবেগ ও কল্পনারও নাট্যরূপ। এটি একইসঙ্গে গভীর ধ্রুপদী, জনপ্রিয় আধুনিক এবং প্রযুক্তিনির্ভর সংগীতধারার একটি সমন্বয়। শ্রোতার মনের গভীরে তা ছাপ ফেলে, বিনোদনের আধুনিক চাহিদাও পূরণ করে। 

পরিশেষ

পশ্চিমা, ভারতীয়, ইরানি সংগীত — এই তিনটি ধারা বিশ্বসংগীতের গুরুত্বপূর্ণ শাখা। এসবে সংগীতের দর্শন, গঠন, পরিবেশনা ও ধ্বনিগত মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। ভারতীয় সংগীত যুক্তি ও আত্মিক রসের সংগীত। রাগ ও তালের গভীর ব্যবস্থাপনায় শ্রোতার অন্তর্চেতনাকে তা ছুঁয়ে যায়। ইরানি সংগীত সূক্ষ্ম অনুভব, কাব্যিক সৌন্দর্য ও সুফিবাদের সম্মিলনে গঠিত আত্মার সংগীত। আর পশ্চিমা সংগীত গাণিতিক হারমোনি, সিম্ফনি ও চিত্রনাট্য নির্ভর সংগীত যেখানে আবেগ ও নাটকীয়তার প্রাধান্য। সঙ্গীতের অন্তর্গত জগৎ রহস্যে ভরপুর। কিন্তু সঙ্গীত সরাসরি মানবমনে প্রভাব ফেলে। তা গভীর জ্ঞানেরও বিষয়। বোঝা ও না-বোঝার ভেতর দিয়ে মানব আত্মার যে প্রতিধ্বনি সঙ্গীতে ওঠে, তা দেশ-কাল-ভূগোল, রাজনীতি ও বিভক্তির সীমানা পেরিয়ে যায়। 


শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন